রোববার সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা ও নগরীর পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে নগরীতে প্রবেশ করে। নগরীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে কর্মব্যস্থ মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বন্দরনগরীতে ফিরছে মানুষ আবার ঈদের ছুটি কাটিয়ে দেশের অন্য জেলায় নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে নগরী ছাড়ছেন অনেকে।
এবার সরকারি বন্ধের দিন ঈদ হওয়ার কারণে মাত্র একদিন অতিরিক্ত ছুটি উপভোগ করতে পেরেছেন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপরও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করে খুশি তারা।
শহরমুখি মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। পাশপাশি নির্দিষ্ট ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি দিতে হয়েছে।
তারা জানান, সিএনজি পাম্পে গ্যাস বন্ধ থাকার অযুহাতে পাঁচগুণ পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছে পরিবহন শ্রমিকরা। নগরে ফেরার সময়ও একইভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
ফটিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নগরীর অক্সিজেন থেকে ফটিকছড়ি বিবিরহাট পর্যন্ত সিএনজি অটো রিকসায় ভাড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কিন্তু ঈদের আগে আদায় করা হয়েছে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা।
নগরীতে ফেরার পথেও একই ভোগান্তি নিয়ে আসতে হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, দেশে নিয়মের কোন বালাই নেই। যার যেমন খুশি তেমন করছে।
উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও দুই পার্বত্য জেলার বাসষ্টেশন অক্সিজেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাত উপজেলাসহ পর্যটননগরী কক্সবাজারের বাসষ্টেশন শাহ আমানত ব্রীজে ঘরফিরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে রোববার সকালে।
হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা দিদারুল আলম বলেন, নাজিরহাট থেকে অক্সিজেন বাসষ্টেশন পর্যন্ত বাসভাড়া জনপ্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। কিন্তু ঈদের আগে থেকে আদায় করছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজনকেও একই ভোগান্তি মাথায় নিয়ে শহরে আসতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
Discussion about this post