ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শহিদ মিয়া (৫২) নামে এক বাক প্রতিবন্ধীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত বাক প্রতিবন্ধী শহিদ কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ফান্দাউক বাজার, নাসিরনগর উপজেলা সদর ও চৈয়ারকুড়ি এলাকায় ঝাঁড়ুদারের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
বাড়ির মালিক বাবুল, স্থানীয় ফান্দাউক বাজারের নৈশ প্রহরী রহমান মিয়া ও ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশের এসআই মনির হোসেন জানান, বাবুল তার স্ত্রীকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঘরে বিয়ে যোগ্য তার তিন মেয়ে ও শালিকা ঘুমিয়ে ছিলেন। শহিদ ওই বাড়ির বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। দুর্বৃত্তরা এ সময় ঘরে ঢুকতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এতে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শহিদের পেটে আঘাত করে। এর ঘণ্টাখানেক পরে মারা যান তিনি।
ঘটনা সম্পর্কে বাবুলের তিন মেয়ে রুপা, পূজা ও মুক্তা জানান, মা-বাবা বাড়িতে না থাকায় তিন বোন ও তাদের খালা ঘুমিয়ে যান। গভীর রাতে কিছু লোক ঘরে ঢোকার চেষ্টা করছে -এমন শব্দ শুনতে পান তারা। এ সময় শহিদ মিয়া তাদের বাধা দেন। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শহীদ মিয়াকে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। তারা প্রাণভয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে পাশের আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান।
ফান্দাউক বাজারের নৈশ প্রহরী রহমান মিয়া বলেন, তিনি বাজার থেকে শহিদের চিৎকার শুনতে পান। পরে কাছে গিয়ে তার অবস্থা দেখে বাবুলের আত্মীয় হৈমন্তি ও তার ছেলে মিঠুকে ঘটনাটি জানান। পরে তারা আলমগীর মেম্বার ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামানকে খবর দেন।
সরাইল-নাসিরনগর-লাঠাই সড়কে টহলরত অবস্থায় ছিলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির। তিনি ফান্দাউক বাজারের কিছু দূরে টহল দিচ্ছিলেন। ওসির মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বাক প্রতিবন্ধী শহিদকে জীবিত অবস্থায় পান।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, শহিদ এসআই মনিরকে ইশারা-ইঙ্গিতে ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
খুনের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। সোমবার বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
Discussion about this post