রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলের হাসুয়ার কোপে গুরুতর আহত বাবা আবু বাক্কার (৪৮) চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা গেছেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (০৩ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান। বর্তমানে তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী জানান, ঘটনার পর থেকে তার দুই ছেলে সেলিম হোসেন ও আল আমীন গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে।
ওসি পরিমল কুমার চক্রবর্তী জানান, গত সোমবার উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আবু বাক্কারের বড় ছেলে সেলিম হোসেনের সঙ্গে ছোট ছেলে আল আমীনের ঝগড়া শুরু হয়। এ সময় বাড়িতে তাদের বাবা-মা ছিলেন না। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আবু বাক্কার বাড়িতে এসে দুই ছেলেকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এরপর দুই ছেলে বাড়ি ছেড়ে পাশেই নানার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
সেখানে আগে থেকেই তাদের মা অবস্থান করছিলেন। এরপর ওই দিন সন্ধ্যার দিকে আবু বাক্কার ছেলেদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে তাদের কাছে গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে আবু বাক্কারের ওপর হামলে পড়ে। এক পর্যায়ে বড় ছেলে সেলিম হাসুয়া দিয়ে বাবা আবু বাক্কারের গলায় কোপ দিলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ওই দিন রাতেই তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
ঘটনার পর এ ব্যাপারে এখনও পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করেনি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি পরিমল কুমার চক্রবর্তী।
Discussion about this post