কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বখাটে ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে গ্রামছাড়া হয়েছেন আবদুল লতিফ নামের হতভাগা এক বৃদ্ধ বাবা। বৃদ্ধের মালিকাধীন ছোট পুকুর ও ফসলি জমি দখলে নিয়ে বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে সমাজপতিরা। রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছে বৃদ্ধের স্ত্রী করবুলের নেছাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
জানা গেছে, উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের লনিশ্বর গ্রামের আলহাজ আবদুল লতিফ তার বড় ছেলে আহসান উল্যাহকে বেশ কয়েকবার বিদেশ পাঠান। সে বিদেশে কিছুদিন থাকার পর দেশে এসে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়। বিভিন্ন সময়ে মা-বাবার উপর নির্যাতন চালাতো। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে আবদুল লতিফ তার দুই ছেলে আহসান ও হাবিব উল্যাহর নামে কিছু জমি দানপত্র করে তাদের পৃথক করে দেয়। এ দানপত্রে বড় ছেলে আহসানকে ৩০ শতক জমি বেশি দওিয়া হয়। আবদুল লতিফ স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা বসবাস করতে থাকে। কিন্তু আরো জমি অথবা নগদ ৫ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য আহসান উল্যাহ লতিফের উপর চাপ সৃষ্টি করে। জমি বা টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার সকালে আহসান উল্যাহ তার বাবা আবদুল লতিফকে আবারো জমি বা টাকার দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকলে তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লতিফকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। ছেলের হাত থেকে স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে করবুরের নেসাও আহত হন। লতিফের আলমারি খূলে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুটে নেয়। আহত লতিফ ও করবুলের নেছার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ছেলে আহসান পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করেন আবদুল লতিফ। আদালতে মামলা দায়ের করার জের ধরে আহসান কতিপয় প্রভাবশালীদের যোগসাজসে তার বাবার চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। ভয়ে বৃদ্ধ আবদুল লতিফ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এসে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার শ্রীপুর গ্রামে তার মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। নিয়মিত হুমকি ও বৃদ্ধ স্বামীর চিন্তায় পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন করবুলের নেছাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক(তদন্ত) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। বখাটে আহসানকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে’। সূত্র: আমাদের সময়
Discussion about this post