বিডি ল নিউজঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ প্রদানের পর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে অপর অংশ। রোববার দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন থেকে ৬ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘ছাত্রলীগ নামধারী সুমন মামুন, অমিত কুমার বসুসহ একটি অংশ বিভিন্ন সময় ভুল ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় তারা চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি সাব্বির আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আরিফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীর নামে তারা অসত্য তথ্য প্রচার করছে। যার সাথে তাদের নূন্যতম সম্পর্ক নেই। বরং ক্যাম্পাসে শিবির বিরোধী আন্দোলনে এরাই নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। উত্থাপনকৃত ৬ দফা দাবিগুলো হলো- নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সুমন মামুন, অমিত কুমার বসু, শাহাদাত হোসেন ও এস এম আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা, এদের অনুসারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান, আলাওল ও আব্দুর রব হল থেকে ছাত্রশিবির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করতে হবে। বন্ধ থাকা শাহ আমানত, সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রলীগ ও বৈধ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে থাকতে চায়, তাই হল খুলে দিতে হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে শাহজালাল হলে হামলাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার করতে হবে।দোষীদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। শিক্ষক বাসে হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। উল্লেখ্য, শনিবার চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি অমিত কুমার বসু, যুগ্ম-সম্পাদক সুমন মামুনের নেতৃত্বাধীন অংশটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চবি ভিসি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের একটি অংশের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করে। এরই প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের অপর অংশ পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে।
Discussion about this post