রিদর্শক (প্রসিকিউশন) এইচ এম মশিউর রহমান বলেন, মিরসরাইয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ১৫দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে সীতাকুণ্ড থানায় হত্যা এবং সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের হওয়া দুই মামলায় পৃথকভাবে ১৫দিন করে মোট ৩০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত দুটি মামলায় চারদিন করে মোট আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সীতাকুণ্ড পৌরসভার নামারবাজারের সাধন কুটিরে অভিযানের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় গত ১৭ মার্চ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমবার ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। এরপর ২৮ মার্চ শুধুমাত্র সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। এরপর ১ এপ্রিল আবারও সীতাকুণ্ড থানায় হত্যা এবং সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের হওয়া দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরবর্তীতে ১২ এপ্রিল চতুর্থবারের মতো ১০দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায় পুলিশ
গত ১৫ মার্চ দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌরসভার নামারবাজারে সাধন কুটির থেকে জঙ্গি দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছায়ানীড় ভবনের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ।
ছায়ানীড় ভবনে ‘অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬’ নামে ২০ ঘণ্টার অভিযানে ২১ জনকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চার জঙ্গিসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।
পৃথক জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় পুলিশের উপর হামলা, বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটানো এবং অস্ত্র-বিস্ফোরক মজুদ রাখার জন্য চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি সন্ত্রাস দমন আইনে এবং একটি অস্ত্র আইনে ও আরেকটি হত্যা মামলা।
প্রত্যেক মামলায় নামারবাজার থেকে গ্রেফতার হওয়া দম্পতি জহিরুল ইসলাম জসিম এবং তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা আরজিনা এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
Discussion about this post