হলি আর্টিজান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সবচেয়ে কনিষ্ট কমান্ডার মারজানের বোন নব্য জেএমবি খাদিজাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টায় খাদিজাকে যশোর আদালত পুলিশের হাজতখানা থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এরআগে, বিকেলে যশোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আকরাম হোসেনের তাকে করাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে খাদিজার তিন সন্তানের মধ্যে ছেলে রাজুর বয়স দুই বছর হওয়ায় তাকেও মায়ের সঙ্গে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, খাদিজাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে বিচারক শুনানির জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন এবং শিশু সন্তান রাজুসহ খাদিজাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমল হুদা গণমাধ্যমকে বলেন, তিন শিশুর মধ্যে ছেলে রাজুর বয়স দুই বছর হওয়ায় তাকে খাদিজার সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করা হলেও অন্য দুই কন্য শিশুকে তাদের নানা-নানীর (খাদিজার বাবা-মা) জিম্মায় হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
এরআগে, রোববার (০৯ অক্টোবর) বিকেলে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া সড়কের একটি বাড়ি থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তিন সন্তানসহ আত্মসমর্পণ করে খাদিজা। এর আগে, খাদিজার দেওয়া শর্ত অনুযায়ী তার বাবা-মাকে পাবনার বাড়ি থেকে যশোরে নিয়ে আসে। আত্মসমর্পণের পরে ফ্ল্যাটতে তল্লাশি করে তিনটি সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধারের পরে নিস্ক্রিয় করে ঢাকা থেকে আসা বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা।
এ ঘটনায় ওই রাতেই যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড কমিউনিটি পুলিশিংয়ের পরিদর্শক তোফায়েল আহমেদ বাদী হয়ে খাদিজা ও তার স্বামী মশিউরের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনের নামে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
Discussion about this post