আত্মঘাতি হামলায় নিহত জঙ্গি সাইফুলের সঙ্গে একাধিক সহযোগি ছিল। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাইফুলের পলাতক সঙ্গীদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে আয়োজিত ‘শব্দ দূষণ ও হাইড্রোলিক হর্ণ বন্ধে করনীয়’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এই জঙ্গিদের বড় ধরনের নাশকতা ঘটানোর সক্ষমতা নাই। তবে বড়জোর তারা বিচ্ছিন্ন কিছু নাশকতা করতে পারে। সাইফুল সম্প্রতি নব্য জেএমবিতে যোগ দিয়েছিল। তার পরিচয় আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। কিন্তু তার রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য আরও তদন্ত প্রয়োজন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় জঙ্গিদের শেকড় উপরে ফেলা হয়েছে। তাদের কোমড় ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। আর কোনো বড় ধরনের নাশকতা করার সক্ষমতা এখন তাদের নেই।
এর আগে, মঙ্গলবার ভোর রাতে রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিট ঘিরে রাখে।
পরে অভিযান ‘অপারেশন আগস্ট বাইট’ চলাকালে সকাল পৌণে ১০টার দিকে আত্মঘাতী হয় জঙ্গি সাইফুল ইসলাম (২১)।
Discussion about this post