ঢাকার জেলা জজ আদালতের আদেশ জাল করে হাইকোর্টে জামিন চাইতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন হত্যা মামলার এক আসামি। এ বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসার পর তা তদন্ত করে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলকে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর আসামি কাশিমের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন ঢাকার জেলা জজ আদালত। কিন্তু হাইকোর্টে জামিনের আবেদনের সঙ্গে ওই বছরের ১ ডিসেম্বরের আদেশের কপি দাখিল করেন, যা জাল। আইনজীবী মনিরুজ্জামান সিরাজি আদালতকে অবহিত করেন, আইনজীবী এম এ গফুর শিকদার তাঁকে আদেশের কপি সরবরাহ করেছেন। আর আইনজীবী এম এ গফুর শিকদার হাইকোর্টে তা অস্বীকার করে বলেন, আইনজীবী মনিরুজ্জামানকে তিনি ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বরের আদেশের কপি দিয়েছেন। ওই বছরের ১ ডিসেম্বরের কোনো আদেশের কপি সরবরাহ করেননি। হাইকোর্ট জাল জালিয়াতির বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
ঢাকা জেলা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, গত ২৭ মার্চ হাইকোর্ট ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আদেশ জালিয়াতির বিষয়টি তদন্ত করে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। হাইকোর্টেও ওই আদেশে জেলা জজ আদালতকে তদন্তে সহায়তা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই আদেশের একটি অনুলিপি তাঁরা পেয়েছেন।
২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নওয়াবগঞ্জ থানা রুপারচার এলাকায় একটি ইজিবাইকচালক সাইদুল ইসলামকে হত্যা করে বাইকটি ছিনিয়ে নেন। নিহত সাইদুর ইসলামের লাশ একটি পাটখেতে ফেলে দেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে কাশিমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
Discussion about this post