সাতক্ষীরার পল্লী চিকিৎসক মোকলেসুর রহমান জনির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তদন্তের ভার পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) দিতে পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এই মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদউল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম. মতিন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
এর আগে পল্লী চিকিৎসক মোকলেসুর রহমান জনির খোঁজ না পেয়ে তার স্ত্রী জেসমিন নাহার হাইকোর্টে ‘হেবিয়াস কর্পাস’ রিট করেন।
কোনো ব্যক্তি যদি মনে করেন তাকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, তাহলে তিনি ‘হেবিয়াস কর্পাস’ আবেদন করতে পারেন।
রিটে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ওষুধ আনতে বাড়ি থেকে বের হয়ে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট এলাকায় এলে জনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওইদিন রাত ১টায় পুলিশ জনিদের বাড়িতে অভিযান চালায়। পরদিন জেসমিন ও তার শ্বশুর থানায় গিয়ে জনির খোঁজ করেন ও তাকে থানা হাজতে দেখতে পান। পরে আরও দু’দিন থানায় আটক থাকা জনিকে খাবারও দেন। ৮ আগস্ট থানায় গেলে পুলিশ জনিকে আটক করা এবং থানায় রাখার কথা অস্বীকার করে।
ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জনিকে আটক বা গ্রেফতার করেনি।
এরপর হাইকোর্ট জনির অবস্থান নির্ণয়ে বিচারিক তদন্তের জন্য সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল্লাহ মাহমুদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
অভিযোগকারী, পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২৩ জনের জবানবন্দি গ্রহন করে তদন্ত কমিটি। পরে ওই তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। কিন্তু বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ হওয়ায় নতুন করে পিবিআইকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়া হলো।
Discussion about this post