জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘এ’ ইউনিট বা বিজ্ঞান অনুষদের ২০১৬-১৭ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের দায়ে আটক চারজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল শুক্রবার (২১ অক্টোবর) পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০-এর ৯ (খ) অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। চারজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৩শ’ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দশদিনের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তদের একজন কনফিডেন্স কোচিং সেন্টার জবি ক্যাম্পাস শাখার পরিচালক এম রহমান রনি এবং মোস্তাক আহমেদ ও আব্দুর রহমান নামের দুই পরীক্ষার্থী। অপর একজন হলেন ছাত্রলীগ কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম ব্যাচের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফ আহমেদ লিখন।
লিখন জবি ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম তুর্যের অনুসারী বলে জানা গেছে। লিখনের নামে ইতিপূর্বেও কোতোয়ালি থানায় একাধিক চাঁদাবাজির মামলা আছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার শাহেন শাহ গণমাধ্যমকে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি নিজেই এই চারজকে আটক করেছেন। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা করেছি। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে দুই বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আরও ৩০টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ।
এবার ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত) ৮২৫টি আসনের (বিজ্ঞান-৭৯৭ ও অন্যান্য-২৮) বিপরীতে ৬৪ হাজার ৩০৬ জন অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ৭৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন।
Discussion about this post