জানা যায়, অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মর্যাদা অবনমনের প্রতিবাদে এবং স্বতন্ত্র পে-স্কেলের দাবিতে গত বুধবার ২০১৫-১৬ সেশনের প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল শিক্ষক সমিতি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবারের পূর্ব নির্ধারিত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়লে এদিন সকালে জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহ্বান করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
একাডেমিক কাউন্সিলের প্রথম দফা সভায় বিষয়টি আলোচিত হওয়ার পর সেখানকার প্রতিনিধিরা শিক্ষক সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেন। শিক্ষক সমিতি সেটি নিয়ে পুনরায় জরুরি সাধারণ সভা করে অন্তত শুক্রবার পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনায় আনলে শিক্ষকরা তাতে সম্মত হন।
একাডেমিক কাউন্সিল সূত্র জানায়, শুক্রবার পরীক্ষা গ্রহণ না করার বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে শিক্ষকদের মধ্যে তোড়জোড় চালান শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী নূর। কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষক তাতে সাড়া না দেওয়ায় তার মতটি বাতিল হয়ে যায়। ফলে আগামীকাল (শুক্রবার) ভর্তি পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষকদের পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আজ (বৃহস্পতিবার) একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে বিষয়টি একাধিকবার আলোচনা হওয়ার পর শিক্ষকরা শুক্রবারের পরীক্ষায় অংশ নিতে সম্মত হয়েছেন।
Discussion about this post