এইচ.এস.এম তারিফ: বাংলাদেশ হতে ২০২০ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উদ্যোগে জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচির অংশ হিসাবে কুকুরে কামরের আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি সারাদেশে ব্যাপক হারে কুকুরের জলাতঙ্ক প্রতিষোধক টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রযেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৮ মে বৃহস্পতিবার সমগ্র সিরাজগঞ্জ জেলার নয়টি উপজেলায় জলাতঙ্ক প্রতিরোধে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি শেষ হল। সিরাজগঞ্জ সদর,শাহজাদপুর, তাড়াশ, কাজিপুর, রায়গঞ্জ উপজেলায় ১৭ই মে হতে ৪ দিন ব্যাপী কর্মসূচির প্রথম পর্ব শুরু হয়ে ২০ মে শেষ হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় পর্বে ২৫ মে হতে ২৮ মে বেলকুচি, কামারখন্দ ও চৈাহলি উপজেলায় কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। কর্মসূচিতে সিরাজগঞ্জ জেলার অধিকাংশ পোষা ও বে-ওয়ারিশ কুকুরকে একযোগে জলাতঙ্ক প্রতিষোধক টিকা দেওয়া হয়। এমডিভি কর্মসূচি সফল করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এমডিভি কনসালটেন্ট ডাঃ কামরুল ইসলাম, ডাঃ সোহেল রানা, ডাঃ চন্দন সরকার, ডাঃ সুদেব সরকার, ডাঃ রাশেদুল ইসলাম, ডাঃ মাহমুদুল্লাহ এবং এমডিভি সুপারভাইজার এইচ.এস.এম তারিফ, মোঃ কামরুল ও ডাঃ অনি ১১ মে হতে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কুকুরকে ধরার জন্য সাতক্ষীরা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁ, পাবনা, নাওগা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের অভিজ্ঞ ডগ ক্যাচার কর্মসূচি অংশগ্রহন করে। সিরাজগঞ্জ জেলায় কুকুরের টিকাদান কর্মসূচির সফলতা সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এমডিভি কনসালটেন্ট ডাঃ চন্দন সরকার বলেন, “সিরাজগঞ্জ বাসীর আন্তরিক সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উদ্যোগে সমগ্র সিরাজগঞ্জ জেলায় কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি সফলভাবে শেষ হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সহযোগিতার কারনেই সফলতার অন্যতম কারন।” তিনি আরো বলেন, “সমগ্র জেলায় টিকাদান কর্মসূচি বাংলাদেশে প্রথম হয় গাইবান্ধা জেলায়। কিন্তু আমরা এবার সিরাজগঞ্জে করার সময় বেশ সহজেই এবং সফলভাবে সমাপ্ত করতে পেরেছি।”
Discussion about this post