ভারতের মুম্বাইয়ের জনপ্রিয় ইসলাম ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েক পিস টিভিতে ধর্মীয় লেকচার দেন। ভারত, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের কোটি মুসলমানদের কাছে তিনি ধর্মীয় তার্কিক ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এই ধর্মগুরুর বক্তব্যে কোন ধরনের বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখবে ভারত সরকার।
গত ১ জুলাই শুক্রবার রাতে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় ৫ জন জঙ্গি। ঐ হামলায় নিহত হন দেশি বিদেশি ২০ নাগরিক।
ঐ ৫ জঙ্গির ২ জন (নিবরাস ইসলাম ও রোহান ইমতিয়াজ) জাকির নায়েকের ভক্ত ছিলেন এবং ফেসবুক ও টুইটারে তাকে অনুসরণ করতেন- এই জাতীয় খবরের প্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
হামলাকারী রোহান ইমতিয়াজ ফেসবুকে নাকি জাকির নাইকের কিছু পোস্ট নিজের ওয়ালে শেয়ার করেছিল।এরকমই একটি পোস্টে সে কোন একটি প্রেক্ষিতে জাকির নাইককে উদ্ধৃত করে লিখেছিল যে, ‘প্রত্যেক মুসলিমেরই উচিত সন্ত্রাসবাদী হয়ে ওঠা।’
প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, ‘জাকির নায়েকের বক্তব্যে কোন ধরনের জঙ্গিবাদী, উস্কানিমুলক বা ঘৃণামূলক কিছু আদৌ আছে কিনা সেটি আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যালোচনা করছে।’
রিজিজু আরও বলেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে আমরা সবসময় বাংলাদেশের সাথে একত্রে কাজ করছি। এই ব্যাপারে দুই দেশের সুসম্পর্ক পরিস্কার। এমনকি বাংলাদেশ সরকার চাইলে ভারত সে দেশে জাকির নাইকের পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করার কথা বিবেচনা করতে পারে। তবে বাংলাদেশ থেকে এখনো সে ধরনের কোনও অনুরোধ করা হয়নি।
জাকির নায়েক বর্তমানে উমরাহ করতে সৌদি আরবে গিয়েছেন। সেখান থেকেই ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ঢাকার জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই আমাকে চেনে। আমার ভক্ত সংখ্যাও অনেক। কাজেই হামলাকারীরা আমাকে চিনলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
Discussion about this post