কক্সবাজারে বসবসরত রোহিঙ্গা সম্প্রদায় বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সরকার দলের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারের মোট জনগোষ্ঠীর ২০ থেকে ২৫ ভাগই রাখাইন প্রদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী। এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী ভবিষ্যতে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিত হলেও বাংলাদেশ সরকার তাদের রাখাইন প্রদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী বলে আখ্যায়িত করে।
ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ‘বর্তমানে নিবন্ধিত ৩৩ হাজার এবং সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিক বাংলাদেশের কক্সবাজারসহ ৫টি জেলায় অবস্থান করছে। গত বছরের অক্টোবরে মিয়ানমার সীমান্ত ফাঁড়িতে হামলা ও তারপর সামরিক অভিযানে রাখাইন রাজ্যের মুসলিম জনগোষ্ঠী ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়। এতে প্রায় ৭৫ হাজার মিয়ানমার নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।’
অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিক বাংলাদেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের নাগরিকদের দ্বারা বাংলাদেশ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তারা বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে। তারা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক ভারসাম্য, শ্রমবাজার ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। রাখাইন জনগোষ্ঠী সীমান্তে মাধকদ্রব্য পাচার, অস্ত্র ও মানব পাচার, চোরাচালান, সীমান্তে মাদক উৎপাদনসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অপরাধচক্র তৈরি করে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, জাতিগত নিরাপত্তা, জাতিগত পরিচয় ও আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার মারত্মক ব্যত্যয় ঘটছে।’
Discussion about this post