ফাঁস হয়ে যাওয়া একটা ই-মেইল। তাতেই নতুন করে তোলপাড় ভারতীয় ক্রিকেট। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনকে দেওয়া লোলিত মোদির সেই ই-মেইল বার্তা সম্প্রতি ফাঁস হওয়াতেই জানা গেছে, ভারতের এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের উপঢৌকন নিয়েছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা ও সুরেশ রায়না। একই অভিযোগ ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভোর বিরুদ্ধেও। তবে অভিযুক্ত দুই ভারতীয় ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আইসিসির কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে কাল বিসিসিআই সচিব অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, ‘আইসিসি যদি কোনো দুর্নীতি খুঁজে পেত তারা আমাদের জানাত। আইসিসি যেহেতু কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, তার মানে তারা অভিযোগ থেকে মুক্ত।’
আইপিএলের সাবেক চেয়ারম্যান লোলিত মোদির ওই ই-মেইলটি ফাঁস করেছেন জনৈক শ্যাম স্বামী। ওই মেইল অনুযায়ী, বাবা দিওয়ান নামে মুম্বাইয়ের এক আবাসন ব্যবসায়ী ও বাজিকরের কাছ থেকে ২০ কোটি রুপি করে ঘুষ নিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসের তিন খেলোয়াড় জাদেজা, রায়না ও ব্রাভো। দুজন পেয়েছেন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, একজন নিয়েছেন অর্থ। মোদি আকসুর মাধ্যমে ওই ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছিলেন রিচার্ডসনকে। মোদির ওই মেইলটি টুইটারে ফাঁস হওয়ার বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আদিত্য ভার্মা আইসিসিকে চিঠি লিখে এই মেইলের ব্যাপারে তদন্ত দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, আইসিসির উচিত নিজেদের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা রক্ষা করা।
এদিকে পরশু আইসিসি স্বীকার করেছে, মোদির ই-মেইল তারা পেয়েছিল। আইসিসির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই বছর আগে মেইলটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা (আকসু) ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আকসু কিংবা বিসিসিআই কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে ব্যাপারে অবশ্য পরিষ্কার কোনো তথ্য আইসিসি দেয়নি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, ফিক্সিংয়ের অভিযোগে শ্রীশান্তসহ ভারতের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে যখন নিয়মমাফিক আইনি প্রক্রিয়া চলছে, তখন এই দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে কেন আকসু কিংবা ভারতীয় বোর্ড কোনো পদক্ষেপ নিল না?
এ প্রশ্নেও অনুরাগ ঠাকুর আইসিসির কোর্টেই বল ঠেলেছেন, ‘এটা আইসিসির আওতায় পড়ে, কারণ তিনজনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। যদি তারা কোনো তদন্ত করে থাকে সেই তদন্তের ফলও তারাই বলতে পারবে।’ ক্রিকইনফো, টাইমস অব ইন্ডিয়া, প্রথম আলো।
Discussion about this post