বিডি ল নিউজঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলে ২১ আগস্ট ছাত্রলীগের এক গ্রুপ অপর গ্রুপের ঘুমন্ত নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় হল শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে আজীবন বহিষ্কারসহ ২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার রাতে বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কে. এম নুরুন নবী (বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স), মওলানা ভাসানী হল শাখার সাধারণ সম্পাদক অনিন্দ বাড়ৈ (নৃবিজ্ঞান), মো. এ কে খায়রুজ্জামান ওরফে সঞ্চয় (ইতিহাস), খন্দকার নাইম-উল ইসলাম ওরফে নইম (মার্কেটিং), কিশোর দাশ (পদার্থ বিজ্ঞান), সাদ্দাম হোসেন (উদ্ভিদ বিজ্ঞান), এম মাঈনুল হোসাইন ওরফে রাজন (নৃবিজ্ঞান), শান্ত কুমার নাথ (পরিবেশ বিজ্ঞান), শিহাব খন্দকার ওরফে শিহাব (পরিবেশ বিজ্ঞান), রাজ প্রসাদ ওরফে রাজ (পরিবেশ বিজ্ঞান), তানভীর সজিব (মার্কেটিং), মো. আদেল আল নোমান (মার্কেটিং), রায়হান হাবীব (মার্কেটিং), মো. নিশাত রহমান (ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং), শাকিল উজ জামান ওরফে শাকিল (ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং) ওইশতিয়াক আহমেদ ওরফে বিজয় (রাসয়ন)।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে শুধু মো. এ কে খায়রুজ্জামান ওরফে সঞ্চয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী।
জানা যায়, অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৯ আগস্ট মধ্যে রাতে মওলানা ভাসানী হল শাখার সভাপতি শাকিল গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর দেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় সাধারণ সম্পাদক অনিন্দ বাড়ৈ গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
এতে সভাপতি গ্রুপের ১০ জন আহত হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শনিবার তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
Discussion about this post