নিজস্ব প্রতিবেদক: ধানের শীষ প্রতীকে ২৫৬টি আসনে বিএনপি প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন ১৫২ জন। এ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতের ২২ প্রার্থীর মধ্যে ১১ জনই জামানত হারিয়েছেন।তবে নৌকা প্রতীকের কোনও প্রার্থীই জামানত হারাননি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে, মনোনয়নপত্র কেনার সময় একজন প্রার্থীকে জামানত হিসেবে ২৫ হাজার টাকা নির্বাচন কমিশনে জমা রাখতে হয়। প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ বা তার বেশি ভোট পেলে জামানত হিসেবে রাখা ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়া হয়। প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট কোনও প্রার্থী যদি না পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।
এবারের নির্বাচনে দেশের ২৯৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ১ হাজার ৮৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ১ হাজার ৪২২ জন। সবচেয়ে বেশি ২৯৭ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের।
তারপরই বিএনপির অবস্থান। ধানের শীষ প্রতীকে ২৫৬টি আসনে বিএনপি প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন ১৫২ জন।
সারাদেশে ২৯৮টি আসনে জামানত রক্ষা করতে পেরেছেন মোট ৪৩৩ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে নৌকা প্রতীকে জামানত রক্ষা করতে পেরেছেন ২৭১ জন প্রার্থী।
মোট আসনের বিপরীতে ২৫৯টি আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বাকি আসনগুলোতে শরিক দলগুলোর মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচন করেছেন। তারা প্রত্যেকে জামানত রক্ষার জন্য যত ভোট প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি সিংহ প্রতীকে নির্বাচন করে পেয়েছেন ৬৩৮টি ভোট। জামানত রাখার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৮ হাজার ৫৩ ভোট।
অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ঢাকা-১২ আসনে কাস্তে প্রতীকে নির্বাচন করে জামানত হারিয়েছেন জোনায়েদ সাকি। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ১০০ ভোট। জামানত রক্ষার জন্য তার প্রয়োজন ছিল ২৯ হাজার ১৮৫ ভোট। এছাড়া কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মোটরগাড়ি মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৭৭৫ ভোট।
হিসেব অনুযায়ী, ১৩০টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১১৬ জনের। জামানত রক্ষা করার মতো ভোট পেয়েছেন ১৪ জন এবং জয়লাভ করেছেন তিনজন প্রার্থী।
Discussion about this post