শুধু দুই একজন ব্যক্তির বিচার করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত দল ও সংগঠনগুলোরও বিচার দ্রুত করতে হবে।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির এ দাবি জানান। গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করেয়ে রিজিওনাল অ্যান্টি টেরোরিস্ট ইনস্টিটিউট (রাত্রি)।
শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার হবে আর জামায়াত বসে থাকবে তা ভাবার কোনো কারণ নেই। তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। সে লবিস্ট নিয়োগের ফলেই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংগঠনগুলো একতরফা বক্তব্য দিচ্ছে।
তিনি বলেন, শুধু কয়েকজন মানুষের বিচার করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শেষ করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এজন্য জামায়াতসহ যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য সংগঠনগুলোর বিচারও করতে হবে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার করার দাবি জানান তিনি।
শাহরিয়ার বলেন, আমাদের দেশের আইনে আমাদের দেশের অপরাধীর বিচার হচ্ছে। তা নিয়ে কোনো বিদেশি সংগঠন প্রশ্ন তুলতে পারে না। এ অধিকার তাদের নেই। এটা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ।
অ্যামনেস্টির অবস্থান ফাঁসির বিরুদ্ধে। কিন্তু আমেরিকায় ফাঁসি হতে পারে আর আমাদের এখানে হলেই দোষ বলেও মন্তব্য করেন শাহরিয়ার কবির।
সরকারকে এ বিষয়ে কথা বলতে হবে- এমন দাবি করে তিনি বলেন, বিজয়ীরা যা করবে তাই মেনে নিতে হবে- এমন চিন্তা পশ্চিমারাই আমাদের মাথায় ঢুকিয়েছে। সে অনুযায়ীই আমরাও বিচার করছি।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন রাত্রির নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ প্রমুখ।
Discussion about this post