কোতয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ওবায়দুল্লাহ এবং মোবারকের বিরুদ্ধে আর কোন মামলা আছে কিনা তা যাচাইবাছাই করে দেখা হচ্ছে।
২০১৪ সালের ১১ মে বিকেলে নগরীর দেওয়ানবাজার এলাকায় জামায়াতের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২১ জনকে আটক করে। এসময় তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়। জামায়াত কার্যালয় থেকে উদ্ধার করা বিস্ফোরকের মধ্যে ছিল দেড় কেজি পটাশ, দুই লিটার পেট্রল এবং বেশ কয়েকটি বোতল।
আটক হওয়া ২১ জনের মধ্যে যুগ্ম সম্পাদক আ জ ম ওবায়দুল্লাহ ছাড়াও নগর জামায়াতের আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি নজরুল ইসলামসহ চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতারা ছিলেন।
আর চলতি বছরের ২৩ মে শুক্রবার দুপুরে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে হিযবুত তাহরিরের প্রচারপত্র বিতরণের সময় মোবারক হোসেনসহ সংগঠনটির সাত কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সেসময় পুলিশ জানিয়েছিল, গ্রেপ্তারের পর মোবারক প্রথমে নিজের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করে। প্রথমে তার বাড়ি হাটহাজারীতে, পরে আবার চকরিয়ায় বলে সে জানায়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর এক পর্যায়ে মোবারক জানায়, সে মায়ানমারের রাখাইন জেলার মায়োমায়া থানার (নং-০১) শার্ট অন সুই গ্রামের নাজি কোয়ের্টার এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে।
অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলায় পারদর্শী মোবারক পুলিশকে জানায়, সে মায়ানমারে স্কুল লেভেলে সর্বোচ্চ দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল। সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত হওয়ায় এরপর তার আর লেখাপড়া কিংবা ভাল কোন চাকুরি করার সুযোগ নেই। বাধ্য হয়ে মোবারক তিন মাস আগে একজন দালালের মাধ্যমে এক হাজার টাকার বিনিময়ে কক্সবাজারের টেকনাফ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। দালালের মাধ্যমেই তিনি চট্টগ্রাম শহরে হিযবুত তাহরিরের একজন বড় ভাইয়ের (নেতৃস্থানীয় সংগঠক) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কথিত বড় ভাই তাকে বেসরকারী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি করানোর আশ্বাস দিয়ে নগরীর বাদুরতলায় জনৈক মোহাম্মদ হোসেনের বিল্ডিংয়ে ভাড়া বাসায় রাখেন।
Discussion about this post