রোববার দিনগত রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে জেলার বাহুবল, লাখাই ও নবীগঞ্জ উপজেলা এবং শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াত আমির মওলানা আশরাফ আলী (৪০), লাখাই উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি নুরুল আমিন (৪২), শায়েস্তাগঞ্জ থানা জামায়াত সেক্রেটারি ইয়াছিন খান (৩২), শায়েস্তাগঞ্জ থানা শিবির সভাপতি হোসাইন আহমদ (২২), সেক্রেটারি নিজাম উদ্দিন (১৮) ও বাহুবল উপজেলা শিবির কর্মী জহিরুল হক কায়েসের (২৭) নামপরিচয় জানা গেছে।
এছাড়াও জামায়াত-শিবির সন্দেহে আরও ১০জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ২টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলামসহ গোয়েন্দা ও থানা পুলিশ তিন-চারটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় নবীগঞ্জ থেকে উপজেলা জামায়াত আমির ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আশরাফ আলী, লাখাই উপজেলা থেকে উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি নুরুল আমিন, বাহুবল থেকে শিবির কর্মী জহিরুল হক কায়েস ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার নিজগাঁও এলাকার দিগন্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পেছনের একটি মেস থেকে শায়েস্তাগঞ্জ থানা জামায়াত সেক্রেটারি ইয়াছিন খান, শায়েস্তাগঞ্জ থানা শিবির সভাপতি হোসাইন আহমদ ও সেক্রেটারি নিজাম উদ্দিনকে আটক করা হয়।
অভিযানে পুলিশ শায়েস্তাগঞ্জের ওই মেস থেকে ৫টি ককটেল, ককটেল তৈরির উপকরণ, সরকার বিরোধী বিপুল পরিমাণ লিফলেট, জিহাদী বই উদ্ধার, রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি মোটর সাইকেল এবং ৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
পরে রাত ৩টায় পুলিশ শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘কাশফুল’ হোটেল থেকে ১০ জনকে আটক করে।
জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম জানান, পুলিশের অভিযান রাতভর চলবে। সকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
Discussion about this post