নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারিক আদালতের নথি আসার পর আদেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
এর আগে দুপুর ২টার পর শুনানির শুরুতে বয়স-অসুস্থতা-সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায় খালেদা জিয়ার জামিনের আর্জি জানান তার আইনজীবীরা। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবীরা। আবেদনে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জামিনের জন্য ৩১টি যুক্তি দেখানো হয়।
এটি ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৩৪টি মামলা বিচারাধীন আছে। এখন পর্যন্ত অন্য কোনো মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাজার আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান। এর পর থেকে তিনি নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে আছেন।
এ মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকি চার আসামি হলেন সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।
Discussion about this post