নিজস্ব প্রতিবেদক: জামিনে মুক্ত হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। ৪৫০ দিন পর আজ শনিবার নরসিংদী কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উনি (শিমুল) উচ্চ আদালতের জামিন পেয়ে বেলা সাড়ে ১২টায় নরসিংদী কারাগার থেকে মুক্তি পান। ৪৫০ দিন কারাগারে ছিলেন তিনি।’
দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় শিমুল বিশ্বাস অসুস্থ বলেও জানান বিএনপির সহদপ্তর।
২০১৮ সালে শিমুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নাশকতার মামলা হয়। ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নং বিশেষ আদালত প্রাঙ্গন থেকে শিমুল বিশ্বাসকে আটক করা হয়। তাকে রাজধানী রমনা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।
এরপর ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি শিমুল বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আহসান হাবীব।গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট থেকে সবগুলো মামলায় জামিন পান বিএনপির এই নেতা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কে এম নুরুজ্জামান। ওই নাশকতা মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।
ওই মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন—বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
Discussion about this post