মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো.খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।
এ সময় মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া হাইকোর্টে পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন জানান। পরে আদালত বাদীপক্ষকে পক্ষভুক্ত করতে আসামিপক্ষকে নির্দেশ দেন। পক্ষভুক্ত হয়ে আগামী রোববার (৩০ আগস্ট) বাদীপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এর আগে গত ১২ জুলাই স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম মুকুলের জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার মহানগর হাকিম মেহের নিগার সূচনা।
মুকুল তার বান্ধবী সিঁথির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে সাংবাদিক স্ত্রী দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আক্তার তন্বীর ওপর নির্যাতন করেন। এমন অভিযোগ এনে গত ২৫ জুন তন্বী তার স্বামী মুকুল ও সিঁথির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় মুকুলকে গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে আটক করে পুলিশ। পরদিন ২৭ জুন আদালতের নির্দেশে তাকে একদিনের রিমান্ডে নেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ পারভেজ। ২৮ জুন রিমান্ড শেষে মুকুলকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত।
অন্যদিকে গত ২ জুলাই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার দে’র আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান সিঁথি। বিচারক সিঁথিকে তার স্বামী ঢাকা ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার রাজিউল আমিনের জিম্মায় জামিন দিতে চাইলেও রাজিউল সিঁথিকে নিজের ঘরে ফিরিয়ে নিতে অসম্মতি জানান। এ অবস্থায় আদালত সিঁথির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
পরে আদালত ৬ জুলাই সিঁথিকে জামিন দিলেও মুকুলের আবেদন নাকচ করা হয়।
মামলায় তন্বী অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর একমাত্র মেয়ে চন্দ্রমুখী মারা যাওয়ার পর শোকে তিনি পাঁচতলা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। এরপর দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলেন। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে আবার তারা দু’জন সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু এর মধ্যে সিঁথির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মুকুল। এ নিয়ে কথা বললে স্বামী মুকুল বিভিন্ন সময়ে তন্বীকে অন্তঃসত্বা অবস্থায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। মুকুল তাকে নির্যাতন করার সময় কয়েকবার তার আর্তনাদ মোবাইলে সিঁথিকে শুনিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তন্বী।
একবার রক্তাক্ত অবস্থায় সহকর্মীরা বাসা থেকে তন্বীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এর কিছুদিন পর তার দ্বিতীয় কন্যার জন্ম হয়। কিন্তু সন্তানের জন্মের পর থেকে কখনোই খোঁজ নিতেন না মুকুল।
তন্বীর অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে মুকুল তার কাছ থেকে যৌতুকের জন্য টাকাও নিয়েছেন।
Discussion about this post