মামলার এজাহার ও জব্দ তালিকার নথি জাল করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন অস্ত্র মামলার আসামি হুমায়ন কবির জনু। এই জালিয়াতির ঘটনায় কারা জড়িত সেই বিষয়টি খুঁজে বের করতে মামলা দায়েরের জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে, জালিয়াতির এই বিষয়টি ধরা পড়ায় হাইকোর্ট আসামির জামিন বাতিল করে তাকে ৭ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে।
মুগদা থানাধীন বিশ্বরোডস্থ গার্মেন্টস গলির সন্মুখের রাস্তায় অস্ত্র ও গুলি কেনা বেচার সময় ৪ জনকে গত বছরের ১৩ নভেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ওইদিনই মুগদা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই মামলায় জুনু,শহর আলী ওরফে লিটন গ্রেফতার হন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে নথি জাল করে জামিন নেন আসামি জনু।
আজ ওই মামলার অপর আসামি শহর আলী হাইকোর্টে জামিন চান। শহর আলীর আইনজীবী নাসিমা আক্তার শানু বলেন, মামলার আসামি জনু হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন। সেই হিসেবে শহর আলীও জামিন পেতে পারেন।
তখন আদালত জনু ও শহর আলীর জামিন আবেদন পর্যালোচনা করেন। ওই পর্যালোচনায় আদালত দেখতে পান যে মূল এজাহার ও জব্দ তালিকার নথি জাল করে জামিন আবেদন করেছিলেন জনু। যেখানে তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের বিষয়টি উল্লেখই ছিল না। পরে হাইকোর্ট জনুর জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। একই আসামির শহর আলীর জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
Discussion about this post