বগুড়ার এক হত্যা মামলায় জামিন হয়নি অথচ জালিয়াতির মাধ্যমে জামিনাদেশ তৈরির অভিযোগে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ঘটনা তদন্ত করে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। ওই মামলায় পাঁচ আসামির আগাম জামিন হয়নি অথচ আট সপ্তাহের আগাম জামিন হয়েছে এমন আদেশের ফটোকপি পেয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।
পাঁচজন হলেন বগুড়ার শিবগঞ্জের ডবিলা গ্রামের তৈয়ব আলী, বিহার পূর্বপাড়া গ্রামের মনতাজের রহমান, বিহার সোনাপাড়া গ্রামের মিনহাজ, রয়নগর কাজীপাড়া গ্রামের মো. ছানাউল ছানা ও ভাসু বিহার গ্রামের মো. মিজান।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মতিউর রহমান উজ্জ্বল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
আদেশের পর আইনজীবী মো. মতিউর রহমান উজ্জ্বল গণমাধ্যমকে বলেন, বগুড়ার একটি হত্যা মামলায় পাঁচজনের পক্ষে আগাম জামিন আবেদন পরিচালনা করি, যা ৮ জুন নট প্রেস (উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ) হয়। পরে গতকাল রোববার পাঁচ আসামি চেম্বারে এসে ফটোকপি দেখিয়ে বলেন আদেশ পেয়েছেন ও নকল তুলে দিতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের জানাই আবেদন নট প্রেস হয়েছে। পরে সহকর্মী আইনজীবীকে সংশ্লিষ্ট শাখায় খবর নিতে বলি। এরপর জানতে পারি কুমিল্লার অপর একটি মামলায় জামিন হওয়া আদেশে তাদের নাম উল্লেখ হয়েছে। অথচ তাঁরা ওই মামলার আসামি না। এ অবস্থায় বিষয়টি গতকাল আদালতের নজরে দিই। শুনানি নিয়ে আজ আদালত ওই আদেশ দেন।
আইনজীবী সূত্রগুলো বলেছে, বগুড়ার শিবগঞ্জে গত ৫ মার্চ ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি খুনের অভিযোগে নিহতের ভাই পরদিন শিবগঞ্জে হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় তৈয়ব আলী, মনতাজের রহমান, মিনহাজ, মো. ছানাউল ছানা ও মো. মিজান—এই পাঁচ আসামি হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন, যার টেন্ডার নম্বর ২৮২৯২/১২ । শুনানি নিয়ে গত ৮ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ওই জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
Discussion about this post