জামিন জালিয়াতির ঘটনার দিন শেষ। আদালত থেকে কোন আসামীর জামিন হলে কারা কর্তৃপক্ষ টেলিফোনে নিশ্চিত করে কিংবা আদালতের পিয়নও জামিননামা কারাগারে পৌছে দিয়ে থাকে। সম্প্রতি ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত দ্বিতীয় দায়রা জজ আদালতের বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে চলতি বছরের ভুয়া জামিননামা দিয়ে গত এক বছরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৭৭টি মামলার ৭৭টি ভুয়া জামিননামা দিয়ে ১১০ জন দাগী আসামি বের করে আনা হয়।<br /> নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালত থেকে মামলার এজাহার ও অন্য কাগজপত্রের জাল সার্টিফায়েড অনুলিপি তৈরি করে জামিন নেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এমনকি উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন না করেও ভুয়া আদেশ তৈরি করে জামিনে মুক্তি নিচ্ছেন আসামিরা। এ ধরনের বেশ কয়েকটি জামিন জালিয়াতির ঘটনা নজরে আসার পর তা প্রতিরোধে নানা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে জামিন জালিয়াতি রোধ করবে এবং অটোমেটিক জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করবে ‘বেইল কনফার্মেশন’ সফটওয়্যার। সংশ্লিষ্টরা এখন থেকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদালতের জামিন আদেশ দেখতে পাবে।<br /> অবশেষে মাননীয় প্রধান বিচারপতির দৃশ্যমান এক ধাপ এগিয়ে চালু হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেইল কনফার্মেশন সফটওয়্যার। সংশ্লিষ্টরা ডিজিটাল সফটওয়্যারের মাধ্যমে আদালতের আদেশ দেখতে পাবেন। থাকছে না আর কোনো জামিন জালিয়াতির সুযোগ। ভোগান্তিও পুরোপুরি কমে যাবে বিচারপ্রার্থীদের।</p>
Discussion about this post