জাল ট্রেড লাইসেন্স ও আয়কর প্রত্যয়নপত্র (টিআইএন সার্টিফিকেট) দিয়ে খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সদস্য হতে আবেদন করেছেন বেশকিছু ব্যক্তি। খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এবং কর বিভাগ এমন ৪৭ ব্যবসায়ীকে শনাক্ত করে খুলনা চেম্বারকে চিঠি দিয়েছে।
জালিয়াতির মাধ্যমে সদস্য পদ পাওয়া চেষ্টার অভিযোগে এখন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে খুলনা চেম্বার অব কমার্স। ইতিমধ্যে ওই ৪৭ জনকে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা চেম্বার অব কমার্স থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর সদস্য অন্তর্ভুক্তি এবং নবায়নের জন্য ব্যবসায়ীরা আবেদন করেন। আবেদনের সঙ্গে চলতি বছরের ট্রেড লাইসেন্স এবং আয়কর সনদ জমা দিতে হয়। আবেদন পাওয়ার পর ট্রেড লাইসেন্স যাচাইয়ের জন্য কেসিসিতে এবং আয়কর সনদ বাছাইয়ের জন্য কর বিভাগে পাঠানো হয়। আগামী এপ্রিল মাসে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ব্যবসায়ী সদস্য হতে আবেদন করেছেন।
চেম্বারের সচিব নূর রুখসানা বানু জানান, নতুন সদস্য ও নবায়নের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার আবেদনের অল্প কিছু যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৪ জনের ট্রেড লাইসেন্স এবং ২৩ জনের আয়কর সনদ জাল হিসেবে ধরা পড়েছে।
এ ব্যাপারে খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজী আমিনুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, জাল কাগজ দিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা চলছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর ২৭ আগস্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চেম্বারের আইনজীবী আইয়ুব আলী শেখ গত ১০ অক্টোবর ওই ৪৭ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানাতে নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Discussion about this post