জাসদ নিয়ে বিতর্কটা ভালই উপভোগ করছি । নতুন প্রজন্মের জাসদকে নিয়ে এতো কিছু জানার সুযোগ ছিল না। গত বিশ বছর জাসদকে নিয়ে ততো লেখালিখিও হয়নি আর জাসদ নেতাদের জনগণের সাথে সম্পর্কও ছিল না বললেই চলে। তবে এখন পরিষ্কার। সব খোলাসা…
কতো রঙ এই রাজনীতির, কতো রূপ, কত কৌশল। আসলে রাজনীতিতে সবই সম্ভব, আর একটু পতাকার ভাগ পেলে তো একবারে সবই সম্ভব। কী ভয়াবহ না ছিল জাসদের কর্মকাণ্ড সেই ৭২ থেকে ৭৫-এ । সরকারদলীয় সংসদ সদস্যকে হত্যা, ব্যাংক লুট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন, খুন, গুম সবই করেছে আর এখন কিনা সারাক্ষণ জঙ্গি জঙ্গি করে।
সেই নির্মম ১৫ আগস্টের প্রেক্ষাপট তৈরির অভিযোগে গণবাহিনীর সশস্ত্র বিপ্লবের সেকেন্ড ইন কমান্ড ইনু ও তার জাসদকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মাহবুব-উল আলম হানিফ ও ক্যাপ্টেন অব. এবিএম তাজুল ইসলাম সিরিজ আক্রমণে অস্থির করে তুলেছেন।
সেই হত্যাকাণ্ডের পর ১৬ এবং ১৭ আগস্ট এই জাসদ কাউকে সেই হত্যার প্রতিবাদে একটা মিছিলও করতে দেয়নি। কয়েকদিন আগে টকশোতে শুনলাম মইনুদ্দিন খান বাদল সাহেব বলছেন যে টুঙ্গিপারা যেয়ে নাকি উনি কেঁদে ফেলেছেন। আর জাসদ নাকি এখন অতীতের সব ভুলের কাফফারা দিচ্ছে।
ইংরেজিতে একে বলে ‘crocodile tears’ … .আর রাজনীতিতে কাফফারা। দুঃখিত অথবা ক্ষমার কোনো সুযোগ নেই। ইতিহাস কখনও কাউকে ক্ষমা করে নাই। লেখক: বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, ফেসবুক থেকে নেয়া।
Discussion about this post