নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতীয় নাগরিক জিবরান তায়েবী হত্যা মামলার আসামি ইয়াছিন রহমান টিটুর যাবজ্জীবন সাজার রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা রিভিউ পিটিশনের শুনানির জন্য আগামী ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রিভিউ শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিভিউ আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
২০১২ সালের ১ আগস্ট আপিল বিভাগ চট্টগ্রামে ভারতীয় নাগরিক জিবরান তায়েবী হত্যা মামলার আসামি ইয়াছিন রহমান টিটুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখেন। এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আপিল বিভাগে রিভিউ করেন ওই আসামি। রিভিউ পিটিশনে যাবজ্জীবন সাজার রায় বাতিল চাওয়া হয়।
এ হত্যা মামলায় টিটুকে খালাস দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। তবে রাষ্ট্রপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। টিটু চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের ছেলে। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি শিপিং কম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন জিবরান তায়েবী। জিবরানের বাবা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মহাপরিচালক ছিলেন। চাকরির সুবাদে জিবরান স্ত্রী তিতলী নন্দিনীকে নিয়ে চট্টগ্রামে বসবাস করতেন। ১৯৯৯ সালের ৯ জুন নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে জিবরানকে হত্যা করা হয়। পরদিন জিবরানের সহকর্মী জেমস রায় ডাবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০২ সালের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এই মামলায় পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়া ইয়াছিন আলী টিটু, ওমর আলী ও আলমগীরকে খালাস দেন। নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ খালাস পাওয়া ইয়াসিন আলী টিটু, ওমর আলী ওরফে জাহাঙ্গীর কসাই ও আলমগীরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। হাইকোর্টের রায়ের পর ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর চট্টগ্রামের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টিটু। আদালত জামিন না দিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
Discussion about this post