সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (মরণোত্তর) ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা দায়েরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
এরআগে আজ সকালে মুক্তিযুদ্ধের দায়িত্ব কলঙ্কিত ও বাংলাদেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকাকে অপমানিত করার অভিযোগ এনে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলা দায়েরের আবেদন করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।
মামলার আবেদনে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যা করার পর ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দখল করেন। জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি মুক্তিযুদ্ধের দায়িত্ব কলঙ্কিত করেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বদেশে ফিরে আসলে জিয়াউর রহমান তাকে হুমকি ও অবরুদ্ধ করে রাখেন। এতে জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ, স্বাধীনতার ইতিহাস হুমকিযোগ্য ও মানহানিকর অপরাধ করায় তাকে মামলায় মরণোত্তর আসামি করা হয়।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সাথে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপির চেয়ারপারমন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি রাজাকার আলবদরের নেতাকর্মীদের মন্ত্রী এমপি বানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তাদের বাড়িতে এবং গাড়িতে তুলে দেন। এতে দেশ ও বিদেশের কাছে জাতির মান-সম্মান লঙ্ঘিত করে মানহানিকর অপরাধ করায় খালেদা জিয়াকে মামলার দুই নম্বর আসামি করা হয়।
Discussion about this post