নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতির মামলায় ঠিকাদার জি কে শামীম ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ ভূঁইয়াকে আগামী ৩ নভেম্বর (রবিবার) জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুদকের জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত ২৭ অক্টোবর শামীম ও খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।
জি কে শামীম ও খালেদের বিরুদ্ধে গত ২০ অক্টোবর দুটি মামলা করে দুদক। মামলায় জি কে শামীম ও তাঁর মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার টাকা এবং খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শামীম ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস খুঁজে পায়নি দুদক।
এ ছাড়া ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় শামীমের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও সাত লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তাঁর মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরো ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জিকেবি অ্যান্ড কম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদেরও বৈধ উৎস পায়নি দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে আয়েশা আক্তারের কোনো বৈধ আয়ের উৎসও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে খালেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় চার কোটি ৫০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৭০৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাবের অভিযানে তাঁর গুলশানের বাসা থেকে ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ টাকার বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে কিংবা জিজ্ঞাসাবাদে এর কোনো উৎস দেখাতে পারেননি খালেদ। এসব মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মোট পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।
Discussion about this post