ক্রিকেট কর্তাদের দায়বদ্ধতার অভাব আর জুয়ার দাপট। এই দুইয়ের যোগফল এবং সঠিক সিস্টেমের অভাবে পাকিস্তানে ক্রিকেট সহ অন্যান্য খেলাধুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ।জিও নিউজকে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, আমাদের সময় ম্যাচ ফিক্সিং ছিল না। আমি কখনও খেলা নিয়ে জুয়াতেও জড়াইনি। সে রকম হলে আজ লোকের কাছ থেকে যে সম্মান পাচ্ছি তা পেতাম না। এ কথা ঠিক যে, জুয়াড়ি এবং জুয়া-এই দুটোই পাকিস্তানের ক্রিকেটের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
১৯৯৯-এর বিশ্বকাপের ঠিক আগে মিয়াঁদাদকে পাক দলের প্রধান কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় শারজায় একটি টুর্নামেন্ট চলাকালে দলের কয়েকজন ক্রিকেটার জুয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন মিয়াঁদাদ।আর এই কারণেই দলের ক্রিকেটাররা মিয়াঁদাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন বলে মনে করা হয়।
মিয়াঁদাদ জানিয়েছেন, রাজনীতি, ভুল লোকেদের ক্রিকেট প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলিতে বসানো এবং একটি স্থায়ী সিস্টেমের অভাবও পাক ক্রিকেটের অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ। তিনি বলেছেন, চেয়ারম্যান পদের জন্য আমি শাহরিয়র খানকে যোগ্য মনে করি না। তিনি ক্রিকেট-উত্সাহী। কিন্তু খেলার খুঁটিনাটি বোঝেন না। নাজম শেঠিও উপযুক্ত নন। আমার মতে লেফটেনেন্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) তাকির জিয়া এবং ইজাজ বাট চেয়ারম্যান পদের উপযুক্ত।
মিয়াঁদাদ মনে করেন, পাক ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে সবচেয়ে উপযুক্ত ইমরান খান। কিন্তু ইমরান রাজনীতিতে ব্যস্ত। তাই তাঁর পক্ষে ক্রিকেটে সময় দেওয়া সম্ভব নয়।
প্রাক্তন এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, পাক ক্রিকেটের উন্নতির জন্য একটা স্থায়ী সিস্টেম দরকার। বোর্ডের ক্ষমতা বদল হলেও সেই সিস্টেম যেন কোনওভাবেই ব্যাহত না হয়।
এ প্রসঙ্গে মিয়াঁদাদ বলেছেন, এ রকম কোনও স্থায়ী সিস্টেম পাকিস্তানে নেই। যে যখন ক্ষমতায় থাকেন তার খেয়ালখুশি অনুযায়ী ক্রিকেট সংক্রান্ত বিষয়গুলি পরিচালিত হয়।”এবিপি আনন্দ
Discussion about this post