নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মোজাহিদিন বাংলাদেশ’র (জেএমবি) চার সদস্যকে ছিনতাই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
চার জেএমবি সদস্য হল, বুলবুল আহমেদ ওরফে ফুয়াদ, সদস্য মো.সুজন ওরফে বাবু, মাহবুব এবং শাহজাহান কাজল।
২৩ সেপ্টেম্বর সদরঘাট থানার মাঝিরঘাটে ছিনতাই করতে গিয়ে হ্যান্ডগ্রেনেড বিস্ফোরণে দু’জন ‘ছিনতাইকারী’ ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং পরে ঘটনার শিকার ব্যবসায়ীও মারা যায়।
ওই মামলায় চার জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৭ আগস্ট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, কর্ণফুলী থানায় দায়ের হওয়া অস্ত্র আইনের মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে চার জেএমবি সদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। ছিনতাই মামলায় রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার (৫ অক্টোবর) নগরীর কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগর এলাকায় জেএমবি’র একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে আটটি হ্যান্ডগ্রেনেড ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় জেএমবি’র সামরিক প্রধান জাবেদসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। জাবেদ ৬ অক্টোবর ভোরে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে আরেকটি অভিযানে গিয়ে গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে।
০৬ অক্টোবর গভীর রাতে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) আলতাফ হোসেন বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় তিনটি মামলা দায়ের করেন।
এর মধ্যে অস্ত্র আইনের মামলায় জেএমবি’র চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এরা হল, জেএমবি’র চট্টগ্রামের সেকেন্ড ইন কমান্ড বুলবুল আহমেদ ওরফে ফুয়াদ, সদস্য মো.সুজন ওরফে বাবু, মাহবুব এবং শাহজাহান কাজল। চারজনই বর্তমানে গ্রেপ্তার আছে।
এছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া অপর দু’টি মামলায় গ্রেপ্তার চারজন ছাড়াও ফারদিন এবং গিয়াস নামে পলাতক দু’জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেনেড বিস্ফোরণে জাবেদ নিহতের ঘটনায়ও বায়েজিদ বোস্তামি থানায় দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর চার জেএমবি সদস্যকে ৭ আগস্ট আদালতে হাজির করে কর্ণফুলী থানায় দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে মোট ৩০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ। আদালত পাঁচদিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
Discussion about this post