বিডি ল নিউজঃ গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা ও ক্ষমতাসীন দল থেকে অপসারিত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁর পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়নি। পরে ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুর রহমান তাঁকে কারাগারে পাঠান। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকা ও দেশের ১৮টি জেলায় ২২টি মামলা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় প্রতিটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে ধানমণ্ডি থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, লতিফ সিদ্দিকী আত্মসমর্পণ করেছেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার আলম বলেন, ছাব্বিশ সেলের চৌকা (রান্নাঘর) থেকে পছন্দের খাবারও পাচ্ছেন লতিফ সিদ্দিকী। ২৬ কক্ষ বিশিষ্ট হওয়ায় কারাগারের ভেতর ওই ভবন ‘ছাব্বিশ সেল’ হিসেবে পরিচিত। প্রতিটি কক্ষে একজন করে বন্দী থাকেন। কারাগারের মূল ফটক দিয়ে ঢুকে সোজা দেড়শ গজ পথ হাঁটার পর আরেকটি ফটক আছে। সেটি পার হয়ে বাঁ দিকে আরো একশ গজ রাস্তা পার হলে এ ভবন। ‘দালান’ হিসেবেও এ ভবন পরিচিত। সাবেক প্রধান বনরক্ষক ড. ওসমান গনি ছাড়াও আরো ২৪ জন বন্দী ওই ভবনে আছেন বলে জানান তিনি। কারাসূত্র জানায়, বুধবার সকালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে রুটি, আলু ভাজি ও চা দেওয়া হয়েছে। দুপুরে দেওয়া হয়েছে ভাত, সবজি ও রুই মাছের তরকারী। রাতে দেওয়া হবে ভাত ও গোশত। সূত্র জানায়, কারারক্ষীদের সাথে তিনি ভালো ব্যবহার করছেন। তবে লতিফ সিদ্দিকীর বেলায় তার পছন্দের খাবার দেয়া হবে বলে ছাব্বিশ সেলের চৌকায় (রান্নাঘর) দায়িত্বপালনকারী এক কারারক্ষী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কারাগারের সরকারি চাউল ডিভিশনপ্রাপ্তদের কেউ খায় না। লতিফ সিদ্দিকীর বেলায়ও তার পছন্দের চিকন চাউলের ভাত দেয়া হবে।
কোন রকম হৈচৈ বা চোটপাট করছেন না তিনি। ছাব্বিশ সেলে ডিভিশনপ্রাপ্ত আসামির থাকার নিয়ম থাকলেও টাকার বিনিময়ে যে কোনো আসামি থাকতে পারেন। ডিভিশন সেলে প্রথম শ্রেণির বন্দীরা যেসব সুবিধা পান তার সবগুলোই পাবেন লতিফ সিদ্দিকী। ডিভিশন প্রাপ্ত সেলগুলোর মধ্যে প্রত্যেক বন্দীর জন্য একটি চকি, একটি টেবিল, একটি চেয়ার, তোষক, বালিশ, বিছানাচাদর ব্যবহারের সুবিধা দেয়া হয়।
Discussion about this post