ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় একদল মুখোশধারী এক সেনাসদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। নিহত মো. সাইফুল ইসলাম বংকিরা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি এসেছিলেন।
গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বংকিরা গ্রামের পুলিশ ফাঁড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস গণমাধ্যমকে জানান, সাইফুল শনিবার রাতে তার শ্বশুর শামছুল ইসলাম ও ছোট ভাই নৌবাহিনীর সদস্য মনিরুলকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার বদরগঞ্জ বাজার থেকে নিজ গ্রামে ফিরছিলেন। বংকিরা গ্রামের পুলিশ ফাঁড়ির কাছে একটি ফাঁকা মাঠ আছে। সেখানকার সড়কে সাত/আটজন মুখোশ পরা ডাকাত গাছ ফেলে ব্যারিকেড তৈরি করে।
‘ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেল থেকে নেমে শামছুল ইসলাম ও মনিরুল পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। কিন্তু ডাকাতরা সাইফুলকে ধরে ফেলে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, মুখোশধারীরা সাইফুলকে হাত ও গলায় কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, সাইফুল ৮ আগস্ট ঈদ করতে বাড়ি আসেন। চলতি মাসের ২৭ তারিখে কর্মস্থলে যোগদান করার কথা ছিল তাঁর। সম্প্রতি তিনি পদোন্নতি পেয়ে ল্যান্স করপোরাল পদে উন্নীত হন। সাইফুলের স্ত্রী শাম্মীর বাড়ি মাগুরায়। তিনি একজন ক্রীড়াবিদ। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। তারা হলো হামজা ও আবু হুরাইরা।
এ ঘটনার পর জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এরই মধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Discussion about this post