রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (পরে বরখাস্ত) ইউসুফ আলী মৃধা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। রোববার রাত আটটার দিকে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, সাজা হওয়া মামলা এবং বিচারাধীন ১৪ টি মামলায় মৃধার জামিননামা কারাগারে আসে বিভিন্ন সময়ে। হাইকোর্ট এবং চট্টগ্রাম আদালত থেকে তিনি জামিন পান। সবগুলো জামিননামা যাচাই-বাছাই করে রোববার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল রাতে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের (প্রয়াত) বাসায় যাওয়ার পথে পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে টাকার বস্তাসহ একটি মাইক্রোবাস ঢুকে পড়ে। গাড়িতে মৃধা ছাড়া আরও ছিলেন রেলওয়ের কমান্ড্যান্ট এনামুল হক এবং তৎকালীন রেলমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব ওমর ফারুক তালুকদার ও চালক আজম খান। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
মৃধা পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক থাকার সময় রেলের ১৩টি শ্রেণিতে (ক্যাটাগরি) ১ হাজার ৬৯ জন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলার আসামি হওয়ার পর ২০১২ সাল থেকে দুই বছর পলাতক ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করায় সে দিন থেকে কারাগারে রয়েছেন মৃধা।
দুদক সূত্র জানায়, রেলে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মৃধাসহ তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মোট ১৩টি মামলা করেছে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো দুটি মামলায় চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল রায় দেন আদালত। রেলের সহকারী কেমিস্ট ও ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগে দুর্নীতির দুই মামলায় মৃধাসহ তার দুই সহযোগীর চার বছর করে (প্রতিটিতে দুই বছর) কারাদণ্ড দেন আদালত।
নিয়োগে দুর্নীতির বাকি ১১টি মামলার মধ্যে চারটি মামলার বিচার চলছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে। পাঁচটি মামলায় দুদক অভিযোগপত্র দিয়েছে আদালতে। বাকি দুটি মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। এর আগে গত বছরের ৩ আগস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের অন্য একটি মামলায় ঢাকার একটি আদালতে তিন বছরের সাজা হয় মৃধার।
Discussion about this post