ফরিদ মিয়া, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, বিডি ল নিউজঃ দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটে কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি ও শ্রমিক সংকটের কারণে বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। হেমন্তের শেষে কৃষি প্রধান বাংলাদেশের প্রতিটি কৃষকের ঘর যখন আনন্দে মুখরিত থাকার কথা, এমন সময় দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে সার, ডিজেল, কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির বদলে হতাশার ছাপ বিরাজ করছে। যার ফলে এবার লক্ষ ̈মাত্রা অর্জন নিয়ে শংকায় পরেছেন বোরো চাষিরা।
এ দিকে যে কোন পরিস্থিতিতে কৃষকের কাছে সকল প্রকার কৃষি উপকরণ যথা সময়ে যোগান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা।
গত বছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ ̈মাত্রা ছিল এক লাখ ৬৫ হাজার ৯২৯ হেক্টর জমিতে।আবাদ করা হয় এক লাখ ৬৯ হাজার ২৯১ হেক্টর জমিতে যা লক্ষ ̈মাত্রার চেয়ে তিন হাজার ৩৬২ হেক্টর বেশি।
অপর দিকে উৎপাদনের লক্ষ ̈মাত্রা ধরা হয় ছয় লাখ ৪১ হাজার ২১০ মেটিধক টন চাল। শেষ পর্যন্ত উৎপাদনের পরিমাণ দাড়াঁয় সাত লাখ ২৩ হাজার ৭০৫ মেটিধক টন চালে যা লক্ষ ̈মাত্রার চেয়ে ৮২ হাজার ৪৯৫ মেট্রিক টন বেশি।
এ বছর লক্ষ ̈মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদনের লক্ষ ̈মাত্রা ছয় লাখ ৫৮ হাজার ৮১১ মেটিধক টন চাল। বোরো চাষের জন্য কৃষি উপকরণের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। বোরো চাষের জন টাঙ্গাইল জেলায় এ পর্যন্ত চালু হওয়া গভীর নলকুপের সংখ্যা প্রায় ৪৬৭ টি, অগভীর নলকুপ ৮৮৯ টি এবং লো-লিফট পাম্প রয়েছে ৫৮টি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, হরতাল অবরোধে কৃষকদের কোন প্রকারের প্রভাব পরবেনা। এ দিকে লাগাতার হরতাল অবরোধের কারণে কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি ও জেলার বাইরে থেকে শধমিক না আসায় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি হচ্ছে। সেই কারণে ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা।
এদিকে শ্রমিকরা জানায়, দেশে লাগাতার হরতাল ও অবরোধে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটছে আমাদের। কোন প্রকারের উপায় না থাকায় উত্তরবঙ্গ থেকে জীবনের ঝুকি নিয়ে আমরা এখানে কাজ করতে এসেছি।
Discussion about this post