কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তার আইনি লড়াইয়ের মধ্যে টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ নির্বাচন স্থগিত করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিতের যে আবেদন নির্বাচন কমিশন করেছে, তা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের আবেদন শুনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এই আদেশ দেন।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য ২ নভেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন ইসির অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড ব্যারিস্টার ড. মো. ইয়াসিন খান।
কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র ইসি অবৈধ বলে বাতিল করার পর হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ কাদের সিদ্দিকীর আবেদন গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনের খারিজাদেশ স্থগিত করেন।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গত ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়।
এরপর নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
অন্য দলের পাশাপাশি এতে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
কিন্তু ঋণখেলাপের অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর গত ১৬ অক্টোবর শুক্রবার এ দুই নেতা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন করেন।
১৮ অক্টোবর বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে রায় দেন।
রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী।
রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন।
২০১৪ সালে টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর) আসনের উপ-নির্বাচনেও প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। সে সময়ও ঋণখেলাপের অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
Discussion about this post