খালেদা জিয়ার রায়ের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রুবেল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম লেলিনসহ বিএনপির সাড়ে তিনশ’ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার রায়ের বিরুদ্ধে শুক্রবার বিকালে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের দুই শতাধিক নেতাকর্মী একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পৌর শহরের আভুঙ্গী মোড়ে সমাবেশ শুরু করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ২২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। নাশকতার আশঙ্কায় সমাবেশে বাধা দিলে বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তাদের হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে এসআই আব্দুল হাইসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এদের মধ্যে মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া কনস্টেবল শাহীন আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্য চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় বিএনপির তিন কর্মীও আহত হন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি কর্মী লাবলু মিয়া, ইসমাইল হোসেন ও ফিরোজ আহমেদকে ওই দিনই গ্রেফতার করা হয়।
মামলার বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা জানান, শুক্রবার শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিল দলের নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে ফেরার সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। খালেদা জিয়াকে জেলখানায় পাঠানোর পর তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এই ঐক্য ভাঙতে ও নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে এই মামলা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ওই দিন ঢাকায় ছিলেন। তারপরও টুকুকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ আহত হন। পুলিশের ওপর হামলার জের ধরেই গোপালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন। মামলার পর দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post