আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের আশ্রয় চাওয়ার সক্ষমতা ব্যাপক হারে হ্রাস করার যে পরিকল্পনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন তাতে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। নতুন এই রুলের আওতায়, তৃতীয় কোন দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালে অভিবাসীদের আগে ওই দেশে আশ্রয় চাইতে হবে।
এ নিয়ে আইনি লড়াই এখনো চলছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের এই রুল জারির মাধ্যমে এটা পরিষ্কার যে, এটি এখন পুরো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য হবে। এক টুইটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সীমান্তে আশ্রয় প্রার্থনার বিষয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এটি একটি বড় জয়। অভিবাসন কমিয়ে আনা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শাসনামলের একটা বড় লক্ষ্য।
সেই সাথে এটি ২০২০ সালে পুনঃনির্বাচনের জন্যও তার প্রতিশ্রুতির একটা বড় অংশ পূরণ করবে। চলতি বছরের জুলাই মাসে এই পরিকল্পনাটি ঘোষণা করা হলে প্রায় সাথে সাথেই সেটি কার্যকর হওয়া থেকে ঠেকিয়ে দেয়া হয়। ফলে সুপ্রিম কোর্টের এই অনুমোদন মার্কিন গণমাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য জয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
বলা হচ্ছে, সেন্ট্রাল আমেরিকার অভিবাসীরা উত্তর দিকে যাত্রা করে; পায়ে হেঁটে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছায়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই সহিংসতা এবং দারিদ্রের কারণে দেশ ছাড়ে। নতুন এই রুল কার্যকর হলে, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া এবং এল সালভাদরের অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয় চাইতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের আগে প্রতিবেশী কোন দেশ বা মেক্সিকোতে আশ্রয় চাইতে হবে।
তবে এই রুল আমেরিকা অঞ্চলের বাইরের অভিবাসন প্রত্যাশীদের উপরও প্রভাব ফেলবে। আমেরিকার সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন এই রুলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেছে, তারা বলছে, আশ্রয় পাওয়ার যোগ্যদের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমিয়ে দেবে এই নিষেধাজ্ঞা।
এক পিটিশনে সংস্থাটি বলে, “চলতি নিষেধাজ্ঞার কারণে, দক্ষিণ সীমান্ত এবং প্রবেশ বন্দরে থাকা আশ্রয় প্রার্থীরা এমনকি শুধু মেক্সিকান ছাড়া আর কেউই আশ্রয় চাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।” তবে, তৃতীয় কোন দেশে আশ্রয় চাওয়ার পর তা নাকচ হলে কিংবা মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিরা এখনো আশ্রয় চেয়ে আবেদন করতে পারবে।
অভিবাসীরা যেভাবেই পৌঁছান না কেন সবার আশ্রয়ের আবেদন বিবেচনা করার দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতিকে বদলে দেবে এই নিষেধাজ্ঞা। সুপ্রিম কোর্টের নয় বিচারকের মধ্যে দুই জন রুশ ব্যাডার গিন্সবার্গ এবং সোনিয়া সটোমেয়র এই রুলের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
Discussion about this post