যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও দুই নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ করা দুই নারী হলেন- ক্রিশ্চিন এন্ডারসন এবং সাবেক শিক্ষানবিশ প্রতিযোগী সামার জারভচ। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ক্রিশ্চিন এন্ডারসন ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, ‘১৯৯০ সালে নিউ ইয়র্ক ক্লাবে আমেরিকার এই সম্পদশালী (প্রোপার্টি মুঘল-ট্রাম্প) আমার স্কার্টের নিচ দিয়ে হাত দিয়ে শরীর স্পর্শ করেন। যেখানে আমি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য কাজ করছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওইদিন আমি খুবই বিব্রত বোধ করেছিলাম। এরপর আমি চারদিকে ঘুরে একজনকে শনাক্ত করেছিলাম। পরে জানতে পারি সে একজন সম্পদশালী। সেদিন ওই ব্যক্তির যে রকম চুল ও চোখের ভ্রু দেখেছিলাম তার সঙ্গে ট্রাম্পের মিল আছে। কারণ এ ধরণের ভ্রু আর কারও নেই।’
এন্ডারসন আরও বলেন, ‘এটা কোনও যৌন হয়রানি নয়। কিন্তু আমি জানি না সে এটা কেন করেছিল। এটা বলছি এটা প্রমাণ করতে যে, সেই এ কাজটা করেছিল।’
এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের মানবাধিকার আইনজীবী গ্লোরিয়া অ্যালারড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সামার জারভস নামের অন্য এক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষানবিস প্রতিযোগিতার পঞ্চম সেশনের প্রতিযোগী সামার জারভস বলেন, ‘চাকরির সুযোগ দেওয়ার কথা বলে ট্রাম্প আমাকে যৌন হয়রানি করেছিল। ২০০৭ সালে বেভারলি হোটেলের একটি বাংলোতে আমি ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়। যেখানে সে আমার ঠোঁটে চুমু খায়।’
জারভস আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘ট্রাম্প পাশের সোফায় বসতে বলে আমার ঘাড় জড়িয়ে ধরে আরও জোরালোভাবে চুম্বন করতে থাকে এবং তার হাত আমার স্তনের ওপর রাখে। এসময় বাধা দেওয়া সত্ত্বেও ট্রাম্প আমাকে জোর করে তার শয়নকক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং আমার যৌনাঙ্গ স্পর্শ করতে থাকে।’
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্যই দুই নারীর অভিযোগকে ‘ভয়ঙ্কর মিথ্যা’ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ট্রাম্পের মুখপাত্র হোপ হিকস ওয়াশিংটন পোস্টকে এক ইমেইল বার্তায় জানিয়েছে, ‘মি. ট্রাম্প এসব মিথ্যা অভিযোগ খুব দৃঢ়তার সঙ্গে অস্বীকার করেছেন। আসলে মনে হচ্ছে অনেকে বিনামূল্যে প্রচারণায় আসতে এ ধরনের কুৎসা রটনা করছে।’
Discussion about this post