এম.আর.ওয়াজেদ চৌধুরী রায়হান, চট্রগ্রাম প্রতিনিধি, বিডিলনিউজঃ দীর্ঘ দুমাস শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে ট্রেনে দূর্ঘটনায় পড়ে নিহত হলেন আইআইইউসি কুমিরাস্থ ক্যাম্পাস এর ইকোনোমিকস এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৫ম সেমিস্টার এর ছাত্র মোহাম্মদ সাজিদ ইসলাম (২৩) । ইন্নানিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন।
জানা যায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্রগ্রাম সীতাকুণ্ড কুমিরাস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে শুক্রবার সকালে পরীক্ষা দিতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশে পথের ঢাকা-চট্রগ্রাম রেল লাইনে ট্রেন দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে মারত্মক ভাবে আহত হন। পরবর্তীতে চট্রগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি ইন্তিকাল করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, দু দিক থেকে ট্রেন আসছিল। একটি ট্রেন চলে যাওয়ার পর রাস্তা পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রেনের সাথে ধাক্কায় আহতহ হন সাজিদ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই পঙ্কজ বড়ুয়া দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘ট্রেনে কাটা পড়ে আহত সাজেদুলকে আশংকাজনক অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে হাসহাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার লাশহাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অভিযোগ-ঘটনার পর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। গাড়ি না পেয়ে সিএনজি অটো রিকসা যোগে তাকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। দ্রুত হাসপাতালে নিতে না পারায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সাজেদ এর মুত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে তার সহপাঠীরা। তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্বেও রেল লাইনে উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নেইনি কর্তৃপক্ষ। “
এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রধান প্রফেসর ড.দেলোয়ার হোসেন এই প্রতিবেদক কে সাক্ষাৎকারে বলেন ” আমাদের মেধাবী ছাত্র সাজেদ এর এই অকাস্মিক মৃত্যুতে আমি ব্যাক্তিগতভাবে গভীর মর্মাহত এবং বিস্মিত। দূর্ঘটনা খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ভিসি প্রো-ভিসি অফিসে ফোন করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যাবস্থা নিতে বলি। দুর্ভাগ্য হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। রেল গেটে সবসময়ের মতো আজকেও নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, আমাদের দুইজন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দুজন আনসার সহ আরও একজন নিয়মিত নিরাপত্তা কর্মী। হয়তো আমার ছাত্রটা সতর্ক ছিল না। আমি মনে করি, সবমসময় আমাদের সচেতনতা তথা সতর্ক থাকা এবং নিজ দায়িত্ব যথাযথ পালন করা উচিৎ। এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত তার বিদেহী আত্বার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমার চেস্ট করব সান্তনা হিসেবে কিছু আর্থিক সাহায্য করার।”
এই ঘটনার পর ছাত্রদের মাঝে উত্তেজন বিরাজ করছে। সার্বিক পরিস্তিতি বিবেচনা করে ক্যাম্পাস পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সীতাকুণ্ড থানার পক্ষ হতে।
Discussion about this post