নির্ধারিত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিগত ২৬ বছর যাবত নির্বাচন অনুষ্ঠান না করতে ব্যর্থতাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ রোববার (১৯ মার্চ) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ঢাবি ভিসি, প্রেভিসি, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী। পরে তিনি রুল জারির বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না হওয়ায় ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর আহম্মদ, সাবেক জিএস ড. মোস্তাক হোসেন ও বর্তমান অধ্যয়নরত জাফরুল হাসান নাদিম আদালতে এই রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
আবেদনে বলা হয়, নির্বাচন না দিয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষ ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্বশাসন আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছে। তাই যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে এই রিট আবেদনটি করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে সবশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বপালনকারীরা নির্বাচনের উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সকল চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। ২৬ বছর ধরে ঝুলে আছে নির্বাচন না করতে পারার বিষয়টি।
Discussion about this post