ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে থাকা জঙ্গিদের লাশের ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পরই এসব লাশ কী করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ সোমবার ডিএমপির উপকমিশনার মাসুদুর রহমান একথা জানিয়েছেন।
৯ জঙ্গির লাশ নেওয়ার বিষয়ে মাসুদুর রহমান বলেছেন, ‘সম্প্রতি পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ১৯ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুলাশানের জঙ্গিদের ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলেও কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গির প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি।’
তিনি বলেন, নিহত জঙ্গিদের মধ্যে কারও লাশ নেওয়ার জন্য স্বজনরা আবেদনও করেনি। যদি কেউ তাদের লাশ নিতে চাইতো তাহলে স্বজনদের ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হতো। তারপর লাশ দেওয়া হতো। কল্যাণপুরে নিহত ৯ জনের ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সিআইডির ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তারও ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি। এসব পরীক্ষার ফলাফল পেলে এবং তদন্ত কর্মকর্তা যদি মনে করে আর কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার নাই তারপর যদি কেউ লাশ নিতে চায় তারপর দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘গুলশানেনিহত জঙ্গিরা মাদক নিয়েছিল কিনা তা পরীক্ষার জন্য এফবিআই’র কাছে নমুনা দেওয়া হয়েছে। তারও ফলাফল পাওয়া যায়নি। বর্তমানে সিএমএইচে ৬ জন এবং ডিএমসি’র মর্গে ১৩ জঙ্গির লাশ রয়েছে। সম্প্রতি জঙ্গিদে লাশ নেওয়ার জন্য ডিএমসি পুলিশকে চিঠি দিয়েছে।’
ঢামেক মর্গে এ পর্যন্ত রাখা হয়েছে ১৩ জঙ্গির মরদেহ। এর মধ্যে ৯ জঙ্গির মরদেহ পড়ে আছে ৪০ দিন ধরে। প্রতিদিনই ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আসছে কমপক্ষে ৫-৭টি মৃতদেহ। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গির মরদেহ সরিয়ে নেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। আগস্টের শেষ সপ্তাহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠিরই জবাব দিলো ডিএমপি।
Discussion about this post