প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বালাঘাটা এলাকার দিনমজুর দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী করিমা আক্তারের (১৪) সঙ্গে স্থানীয় ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবদুল হাকিমের ছেলে কামাল হোসেনের (২০) প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। উভয়ের পরিবার বিষয়টি মেনে না নিলেও শেষ পর্যন্ত সন্তানের চাপের মুখে শনিবার সকালে বিয়ের আয়োজন করে।
এসময় স্থানীয়রা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় বিয়ে বন্ধ করেন।
পরে জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরী তার নিজ বাসভবনে উভয় পরিবারের সদস্যদের ডেকে মেয়েটিকে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন এবং সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত বৃত্তির ঘোষণা দেন।
করিমা বেগমের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বাধ্য হয়েই তার মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জেলা প্রশাসকের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে লেখাপড়ার ব্যয়ভার বহন করার আশ্বাসে তিনি এ বিয়ে বন্ধ করেছেন।
এ বিষয়ে এনডিসি শামীম হোসাইন জানান, প্রশাসনের আর্থিক সহায়তার ফান্ড থেকে মেয়েটির পড়ালেখার ব্যয় বাবদ প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। যাতে সে মাধ্যমিক পর্যায়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে।
জেলা প্রশাসকের এ ধরনের উদ্যোগ ও পদক্ষেপ এলাকায় ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
Discussion about this post