বিডিলনিউজ: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এনবিআর-সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। আর ব্যাংকিং-সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ব্যাপারে কোনো বিষয়ে মতামত প্রয়োজন হলে আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেয়া হবে।
মন্ত্রিসভায় ড. ইউনূসের আয় সংক্রান্ত এনবিআরের প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে কবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়নি।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আয় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দেয় এনবিআর। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি প্রকাশ করা হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড. ইউনূস একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১৩৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে বৈদেশিক সন্মানী, ১০টি প্রতিষ্ঠান থেকে পুরস্কার এবং ১৩টি বইয়ের রয়ালটি পেয়েছেন। এভাবে সব মিলিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫০ কোটি ৬১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৮৮ টাকা। তিনি করমুক্ত আয় দেখিয়েছেন ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৭ টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ড. ইউনূসের বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতির আবশ্যকতা ছিল। কিন্তু তিনি যেভাবে আয় করেছেন ও আয়কর অব্যাহতির সুবিধা নিয়েছেন, তা বিধিসম্মত হয়নি। তিনি আয়কর দাখিল করা নিয়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেননি। তাকে শর্ত সাপেক্ষে আয়কর অব্যাহতির সুবিধা দেয়া হয়েছিল। তাঁকে যারা এ সুবিধা দিয়েছেন, তাঁরা দায়ী বলে জানান মন্ত্রিপরিষদের সচিব। তবে প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূস দায় এড়াতে পারেন না বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দায়িত্বে থাকাকালে ইউনূস ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠানকে স্বল্প সুদে ঋণ দেন। এখানে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট আছে। তাই ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে বলে এনবিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিধি ভেঙে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণে তহবিলে স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও এনবিআরের অনুসন্ধানের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে।
Discussion about this post