ঢাকার অন্তত ২০ টি স্থানে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। হামলা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে সবোর্চ্চ সর্তকবস্থায় রয়েছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জঙ্গী হামলা হতে পারে এমন আতঙ্কে রাজধানীর শপিংমলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো জনসমাগম আশঙ্কাজনক অবস্থায় কমে গেছে।
গুলশান এবং শোলাকিয়ার হামলার ঘটনার পর থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় আতংকে মধ্যে রয়েছে সবাই। গুলশান হামলার পরপরই গত ৪ জুলাই রাতে এক টুইটার বার্তায় যমুনা ফিউচার পার্কসহ শপিংমল গুলো হামলার হুমকি দেয়া আগামী ২০ জুলাই। অবশ্য হুমকিদাতার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবু জঙ্গী বড় ধরণের হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার কৌশল পাল্টে নাশকতা রুখে দিতে তৎপর পুলিশ, র্যঅব এবং গোয়েন্দারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলে আসছেন, এদেশে জঙ্গি করে কোনো গোষ্ঠি রক্ষা পাবেনা। দেশী-বিদেশী চক্র যে দেশে জঙ্গিবাদ বিস্তার ঘটিয়ে উন্নয়ণকে বাধাগ্রস্থ করতে চায় তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হবেনা। সরকার কঠোর হস্তে জঙ্গিবাদ দমন করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সম্প্রতি জঙ্গী হামলার ঘটনায় আইএসের অস্তিত্ব নেই জানিয়ে আসছেন। চলতি মাস জুড়ে তিনি বলেছেন, দেশের ঘটে যাওয়া সব হামলায় জেএমবি ও এবিটি মতো হোম মেড জঙ্গীরা জড়িত এটি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। আইএসের উপস্থিতি প্রমাণ করতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছ্। তাদের সেই অশুভ চেষ্টা সফল হবেনা।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হক, র্যঅবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা জঙ্গী দমনে নিজেদের বাহিনীর দক্ষতা এবং জনবলকে কাজে লাগিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে গুলশান হামলা মামলার তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, এসব জঙ্গিদের মদদদাতা, অস্ত্রদাতা ও আশ্রয়দাতা দেশীয়। তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তবে মামলার স্বার্থে এখন কাউকে কিছু বলা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, গুলশান হামলার ঘটনার তদন্তে আমরা নিজেরাই যথেষ্ট। তবে প্রয়োজন হলে বাইরের সাহায্য নেয়া হবে। আগামীতে এমন ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ পুরো রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে।
এদিকে একাদিক গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, গুলশান-শোলাকিয়ায় হামলা পরবর্তী ঘটনায় আরো হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে জঙ্গী সংগঠনগুলো এমন আশঙ্কা করছেন তারা। প্রায় ২০ টি গুরুত্বপূর্ন স্থানকে টার্গেটের মধ্যে রয়েছে বলে মেন করছেন তারা।
আরো জানা গেছে, হামলার আশঙ্কায় রাজধানীর সব গুরুত্বপূর্ণস্থানে পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নাশকতা প্রতিরোধে প্রতিটি বাহিনী একযোগে কাজ করছে।
Discussion about this post