নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার আদাবরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গাড়িচাপায় আরিফ (১৫) ও সুজন (১৭) নামে দুই কিশোরের মৃত্যু ঘটেছে। উত্তর আদাবরের সুনিবিড়ি হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর সড়কে শনিবার সকালে নামে ওই দুই কিশোরের মৃত্যু ঘটে।
ওই এলাকার মোহাম্মদিয়া হোমসের দারোয়ান আব্দুল জব্বার গণমাধ্যমকে বলেন, “একটি পিকআপে করে আসা বেশ কিছু তরুণ লোহার গেটের কাছে এলে বিপরীত দিক থেকে সেই পিকআপ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এর পর সবাই ছোটাছুটি করে।” ওই সময় পিকআপভ্যানটি দ্রুত ঘোরাতে গেলে তার নিচে চাপা পড়েন আরিফ ও সুজন। আরিফকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরিফের ভাই আলাউদ্দিন বলেন, “যুবলীগের একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল আমার ভাই। তাদের গাড়িতে হামলা হলে সে নেমে পালানোর সময় ওই গাড়িতেই পিষ্ট হয়।”
১৬ নম্বর সড়ক থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে তার মৃত্যু ঘটে। ১৬ নম্বর সড়কের পাশাপাশি সুনিবিড় হাউজিংয়ের ১০ নম্বর সড়ক ও শম্পা মার্কেট এলাকায়ও একই সময়ে সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী সাদেক খানের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধে।
আদাবর থানার ওসি কাওসার আহমেদ বলেন, “আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। আমরা সতর্কভাবে পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাচ্ছি।”
দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নানক এবারও এই আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানও মনোনয়ন চাইছেন এবার।
সংঘর্ষের বিষয়ে সাদেক খান বলেন, “যুবলীগের তুহিনের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের উপর হামলা হয়।”
Discussion about this post