নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং উত্তর-দক্ষিণ সিটির নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডের ওপর নির্বাচন স্থগিত করে জারি করা রুলের ওপর শুনানি আগামী ৮ এপ্রিল রবিবার।
আজ মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) রিটকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির দিন নির্ধারণের এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএসএম নাজমুল হক।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন স্থগিত করেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
ডিএনসিসি মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক দু’টি রিট দায়ের করেন রাজধানী উত্তরের বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও ভাটারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।
গত ১৮ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন সংযোজিত ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচন চার মাসের জন্য স্থগিত করেন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম. ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি জারি করা নির্বাচন সংক্রান্ত তফসিল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে এ নির্বাচনের ওপর আদালত স্থগিতাদেশ দেন।
এরপর দু’টি পৃথক হাইকোর্ট বেঞ্চের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ উভয় সিটির নির্বাচনের ওপর হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন। একইসঙ্গে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচন স্থগিত করে দেয়া পৃথক তিনটি রুল দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি রুল শুনানির জন্য বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন।
Discussion about this post